ঢাকার গুলিস্তানের সিদ্দিক বাজারে ক্যাফে কুইন বিস্ফোরণে মুন্সীগঞ্জের ২ জন ঘটনাস্থলেই নিহত হন। এঘটনায় গুরুতর আহত হয়ে শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে ভর্তি রয়েছেন আরও একজন। তার অবস্থা আশঙ্কাজনক। নিহত দুইজনের মধ্যে একজন ঘটনার দিন বিকালে ভবনটিতে স্যানেটারি পণ্য কিনতে গিয়ে দ্বিতীয় তলায় ক্যাফে কুইন রেষ্টুরেন্টে বসে খাবার খাচ্ছিলেন বলে স্বজনরা জানান।
মঙ্গলবার (৭ মার্চ) রাতে ভবন থেকে নিহতদের মরদেহ উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে আনার পর মধ্যরাত ৩টা’র দিকে স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হয়। পরে বুধবার (৮ মার্চ) সকালে নিজ নিজ এলাকায় জানাজা ও দাফন সম্পন্ন হয়।
নিহতরা হলেন- মুন্সীগঞ্জ সদরের আধারা ইউনিয়নের সৈয়দপুর এলাকার মৃত সমির আখন্দের ছেলে মহিউদ্দিন আখন্দ (৫০)। তিনি ক্যাফে কুইন স্যানেটারি মার্কেটের একটি স্যানেটারির দোকানে ম্যানেজার হিসেবে কাজ করতেন। বিস্ফোরণের সময় তিনি দোকানেই বসা ছিলেন বলে তার ভাতিজা হামিদুর রহমান জানিয়েছেন। তিনি জানান, বুধবার (৮ মার্চ) সকাল ৭ টা'র দিকে আধারার সৈয়দপুর আল আমিন দাখিল মাদ্রাসা মাঠে জানাজা শেষে সামাজিক কবরস্থানে মহিউদ্দিন আখন্দের মরদেহ দাফন করা হয়েছে।
অপর নিহত আবু জাফর সিদ্দিক তারেক (৩৩) গজারিয়া উপজেলার বালুয়াকান্দি ইউনিয়নের বালুয়াকান্দি (পশ্চিম পাড়া) গ্রামের বীর মুক্তিযোদ্ধা মৃত মোজাম্মেল হক খোকার ছেলে। নিহতের বড় ভাই পুলিশ সদস্য মো. মাসুদ জানান, স্যানেটারি পণ্য আনতে গিয়ে ক্যাফে কুইন রেষ্টুরেন্টে খাওয়া-দাওয়া করার সময় হঠাৎ বিস্ফোরণ হলে ঘটনাস্থলেই মারা যান তিনি। এসময় তারেকের সাথে থাকা তার চাচাতো ভাই আওলাদ (২৫) বিস্ফোরণে গুরুতর দগ্ধ হয়েছেন। তার শরীরের প্রায় ৬০ শতাংশ পুরে গেছে। তাকে শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে ভর্তি রাখা হয়েছে। তিনি জানান, বুধবার (৮ মার্চ) সকাল ৮টা’র দিকে বালুয়াকান্দি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে আবু জাফর সিদ্দিক তারেকের জানাজা শেষে সামাজিক কবরস্থানে মরদেহ দাফন করা হয়েছে।
প্রসঙ্গত, পুরান ঢাকার সিদ্দিক বাজারে ক্যাফে কুইন স্যানেটারি মার্কেট ভবনে ভয়াবহ বিস্ফোরণে এখন পর্যন্ত ১৮ জন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন শতাধিক। আহতদের মধ্যে ৮জন গুরুতর দগ্ধ হয়েছেন। তাদের অবস্থা আশঙ্কাজনক।